
মার্কিন নাগরিকসহ আনুমানিক ২০০ যাত্রী নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে একটি ফ্লাইট। আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর রাজধানী কাবুল থেকে ছেড়ে যাওয়া এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। গত ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে টানা দুই সপ্তাহের এক বিশৃঙ্খল উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর বিমানবন্দরটি ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে।
প্রায় এক মাস আগে তালেবান গোটা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর রাজধানী কাবুলে ঢুকলে এই অচলাবস্থার তৈরি হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সামরিক বিমানে তাদের নাগরিক ও আফগান সহযোগীদের ফিরিয়ে নিতে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তখন দুই সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি ও আফগান মিলিয়ে মোট সোয়া লাখ মানুষকে উদ্ধার করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী কাতারের ব্যবস্থাপনায় চলা বিশেষ এই ফ্লাইটটির গন্তব্য দোহা। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। এর আগে আফগানিস্তান আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয় তালেবান সরকার।
পরিবারকে সাথে নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকা একজন আফগান-আমেরিকান নাগরিক এএফপিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ফোন পাই। ফোনে করে আমাকে বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা বলা হয়।’ তবে নাম জানতে চাইলে নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি এএফপিকে তার পরিচয় দেননি।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ভয়ে অনেক আফগান, বিশেষ করে যারা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর হয়ে কাজ করেছেন, তারা মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরের দিকে ছুটতে শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের নাগরিকদের সঙ্গে আফগান সহযোগীদের নিতে শুরু করে। তখন কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনা এবং ১৭০ জন আফগান প্রাণ হারান। আহত হয় আরও বহু মানুষ। পরে বিমানবন্দরে ভয়াবহ সেই হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট অব খোরাশান প্রভিন্স বা আইএস-কেপি।
আরও পড়ুন
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন নৌবাহিনীতে প্রথম নারী প্রধান লিসা ফ্র্যানকেতি
নোবেল জেতার খবর শুনেও নেই আনন্দ-উল্লাস