ডিসেম্বর ২, ২০২৩ ১২:০৫ অপরাহ্ণ || ডেসটিনেশন বাংলা
Home » Post » ‘আমেরিকান রেড পালমার’ এখন বাংলাদেশে

‘আমেরিকান রেড পালমার’ এখন বাংলাদেশে

https://destinationbangla.com/

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের ডোবার পাশে অনেকটা পরিত্যক্ত জায়গায় ঝোপঝাড়ে ঢেকে ছিল দুইটি আমগাছ। গাছ দুটি কারো নজরে না পড়লেও জঙ্গল পরিষ্কার করার পর উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে চলতি বছর গাছ দুটিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।

চারদিকে হাঁটু পানি। সেখানে একটি জায়গায় দুটি আমগাছ। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে আম। গাছ দুটি থাকাতে আমগুলো সবুজের ওপরে লাল রঙয়ে ছেয়ে গেছে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিসেস ভিক্টর মেল নামের ব্যক্তির অধীনে ১৯২৫ সালে বীজ থেকে জন্ম নেয় পালমার জাতের আমগাছ। পরের কয়েক দশক পর্যন্ত এই গাছ সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও ২০০৫ সালে এটি সরকারিভাবে নামকরণ করা হয় ‘আমেরিকান পালমার।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মী মেহেদি হাসান বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার পর দু’একটা আম এসেছিল। তারপরও পরের বছর গাছের ফলন ও জাত দেখার জন্য ডিডি স্যার গাছটি রাখতে বলেছিলেন। এবছর ব্যাপকভাবে আম ধরেছে। লাল রঙয়ে ছেয়ে গেছে দুটি গাছ।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. হাবিবুল্লাহ জানান, গাছ দুটির বয়স প্রায় ৮-৯ বছর। গাছ দুটিতে যে আম ধরেছে তা বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘আমেরিকান রেড পালমার’।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. ইউসুফ বলেন, আমগুলো বিখ্যাত ‘আমেরিকান রেড পালমার’ বলেই মনে হয়েছে। আমগুলো পাকলে আরও পরীক্ষার দরকার আছে। এছাড়া এর বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমেরিকান রেড পালমার জাতের আমের গড় ওজন হয় প্রায় ৩৫০ গ্রাম। জুলাই মাসের মাঝামাঝি দিকে পাকে বলে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। দেখতে আকর্ষণীয় বলে অনেকের খুব পছন্দের আম রেড পালমার। এই জাতের আমের আঁশহীন শাঁস রয়েছে। মিষ্টতা (টিএসএস) ১৮ শতাংশ।

উপ-পরিচালক (ডিডি) মোজদার হোসেন বলেন, রঙিন আমটি বিখ্যাত আমেরিকান রেড পালমার জাতের। এ জাতের আমের গাছের রঙ লাল হয়ে থাকে।

error: Content is protected !!