
আমাদের বাসযোগ্য পৃথিবীর বাইরে কী বিশ্বজগতে আর কোথাও প্রাণ আছে ? এটি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক রয়েছে বিজ্ঞানীদের। মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা আমেরিকার নাসা বহু আগেই ভিনগ্রহের বাসিন্দা বা এলিয়েনের খোঁজ পেয়েছে- আছে এমন দাবিও।
তবে এতদিন নির্ভরযোগ্য কোনো উৎস থেকে এর কোনো স্বীকৃতি মেলেনি। তবে এবার মহাকাশবিষয়ক কর্মসূচির সামনের সারির একজন দাবি করলেন, এলিয়েনের অস্তিত্ব কোনো কল্পনা নয়, বরং মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগও রয়েছে ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের!
ইসরায়েলের স্পেস সিকিউরিটি বিভাগের সাবেক প্রধান হাইম এসেদ সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন এমন ‘বোমা ফাটানো’ তথ্য। ৮৭ বছরের এসেদ ইসরায়েলে ‘কৃত্রিম স্যাটেলাইট ব্যবস্থার জনক’ হিসেবেও সুপরিচিত।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম ইয়েডিয়ট আহারনটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসেদ দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছেন। তবে পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনও ভীনগ্রহের বাসিন্দাদের অস্তিত্ব হজম করতে ‘তৈরি নয়’ বলেই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এসেদ দাবি করেছেন, এলিয়েনরা আন্তঃছায়াপথ সংঘও গড়ে তুলেছে, যার একটি শাখাকেন্দ্র রয়েছে সৌরজগতে পৃথিবীর নিটকতম প্রতিবেশী মঙ্গলে। এমনকি মঙ্গলের মাটির নিচে তৈরি করা ঘাঁটিতে এলিয়েনদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা!
এলিয়েনদের অস্তিত্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরে চেপে রাখলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নাকি প্রকাশ করার পক্ষপাতি ছিলেন। তবে জনমনে অস্থিরতার আশঙ্কা থেকেই শেষপর্যন্ত পিছিয়ে যান তিনি।
নিজের নতুন বই ‘দ্য ইউনিভার্স বিয়ন্ড দ্য হরিজনে’ এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত লিখেছেন এসেদ।
এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রকাশ করতে অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করছিলেন এসেদ। তবে অনেকেই তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে- এমন শঙ্কায় পিছিয়ে গেছেন। এখন তিনি মনে করেন, মানুষের জানাবোঝার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় সত্য জানানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এসেদ বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে এসব কথা বললে আমাকে হয়ত হাসপাতালে পাঠানো হতো।’
এসেদ আরও দাবি করেছেন যে, অ্যালিয়েনরা পৃথিবীতে পারমাণবিক যুদ্ধ থামিয়েছে।
আরও পড়ুন
বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়বে না শরীরে
২ শতাধিক কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশির স্বেচ্ছায় রক্তদান
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য : সিইসি