মার্চ ২৮, ২০২৪ ৪:৩২ অপরাহ্ণ || ডেসটিনেশন বাংলা
Home » Post » বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক-প্রকৌশলী-শিক্ষক নিতে চায় সার্বিয়া

বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক-প্রকৌশলী-শিক্ষক নিতে চায় সার্বিয়া

ইউরোপের দেশ সার্বিয়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, সার্বিয়া বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স ও ইংরেজির শিক্ষক নিতে চায়।

বুধবার (২৫ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফররত সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।

বৈঠকে দুই মন্ত্রী কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসাবিহীন যাতায়াত এবং নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেন।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মোমেন ও সেলাকোভিচ।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য খুব কম। এটা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াবেন বলেছেন। উভয়পক্ষের চেম্বার অব কমার্স আসা-যাওয়া করবে।

‘সার্বিয়ার সঙ্গে অনেক দেশের মুক্ত বাণিজ্য আছে। তাদের থেকে ট্যারিফ সুবিধা পাওয়া যাবে। সেখানে আমাদের জন্য বড় ধরনের সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া সার্বিয়া কাঠামোগত উন্নয়নে খুব দক্ষ। এক্ষেত্রে তাদের থেকে আমাদের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনৈতিক কনসালটেশন ঠিক করেছি। আগামীতে আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলাপ করবো। আমরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ করেছি।

‘তারা আমাদের শ্রমশক্তি নিয়ে খুশি। তাদের যেসব কোম্পানি আমাদের লেবার নিয়োগ করেছে, তাদের সার্ভিস নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। তারা মনে করে, এদেশ থেকে আরও কর্মী যাবার সুযোগ রয়েছে। তারা ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স ও ইংরেজি শিক্ষক নিতে চায়।’

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার আগ্রহ থাকলেও ঢাকায় সার্বিয়ার দূতাবাস না থাকায় সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, সার্বিয়ার দূতাবাস হচ্ছে নয়াদিল্লিতে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, কীভাবে তাদের সহজে ভিসা দেওয়া যায়।

‘তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশ থেকে মাত্র দুজন আবেদন করেছেন। তারা চায়, আমাদের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি নিয়ে যাক।’

এ সময় সার্বিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমার জন্য ঐতিহাসিক সফর। কেন না, এ বছর আমরা সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করেছি। ৫০ বছর আগে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে আরও বাড়াতে চাই।

তিনি আরও বলেন, দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি আরও বাড়াতে চাই। আমি আশা করছি, আমাদের সম্পর্ক আরও বাড়বে, আরও শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশের বিশাল জনশক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সার্বিয়া অবদান রাখতে চায় বলেও জানান দেশটির সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে ঢাকায় এসেছেন নিকোলা সেলাকোভিচ। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে স্বদেশে ফিরে যাবেন তিনি।

error: Content is protected !!