পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেত

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলতেন।’ রোববার ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এ কথা বলেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি।

তিনি বলেন ‘আমার মতো অনেক পাকিস্তানি বিশ্বাস করে, দেশটি ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলে ঢাকা ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেত।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত হাক্কানি বর্তমানে হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

হাক্কানি বলেন, ‘১৪ বছর বয়সে করাচিতে বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখি। তখনই তাকে ভালো লেগে যায়। এরপর আর তার সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি শুধু বাঙালি জাতি নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা রাজনীতিবিদ। তার দর্শন ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। শান্তি ও মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী ও নেলসন ম্যান্ডেলার মতো তিনি বারবার জেলে গিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা আখ্যা দিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে পথে হেঁটেছেন তার কন্যাও একই পথে রয়েছেন। তিনি যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে গেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। তার যোগ্য নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।’

হাক্কানি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারত থেকে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হয়। আজ বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। আর তার কন্যা এখন যোগ্যতার সঙ্গে দেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশরীরে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...।

Comments

comments

পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেত

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলতেন।’ রোববার ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এ কথা বলেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি।

তিনি বলেন ‘আমার মতো অনেক পাকিস্তানি বিশ্বাস করে, দেশটি ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলে ঢাকা ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেত।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত হাক্কানি বর্তমানে হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

হাক্কানি বলেন, ‘১৪ বছর বয়সে করাচিতে বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখি। তখনই তাকে ভালো লেগে যায়। এরপর আর তার সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি শুধু বাঙালি জাতি নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা রাজনীতিবিদ। তার দর্শন ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। শান্তি ও মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী ও নেলসন ম্যান্ডেলার মতো তিনি বারবার জেলে গিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা আখ্যা দিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে পথে হেঁটেছেন তার কন্যাও একই পথে রয়েছেন। তিনি যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে গেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। তার যোগ্য নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।’

হাক্কানি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারত থেকে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হয়। আজ বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। আর তার কন্যা এখন যোগ্যতার সঙ্গে দেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশরীরে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...।

Comments

comments

error: Content is protected !!