সাহরি না খেয়ে কি রোজা রাখা যাবে ?

সাহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। রোজা রাখার নিয়তে সাহরি খাওয়া সুন্নত। কিন্তু কেউ যদি সাহরি না খেয়ে রোজা রাখে, তাহলে কি তার রোজা আদায় হবে?

প্রশ্নটির উত্তর হলো- সাহরি না খেয়ে রোজা রাখা জায়েজ হবে, এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সাহরির সময় কিছু খেয়ে নেওয়া-ই বরকতময়। আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও! কেননা সাহরিতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩; মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩)

রোজা রাখার জন্য পেট ভরে খেতে হবে, এমন কোনো শর্ত নেই। মাছ, দুধ বা খেজুর কিংবা হালকা কিছু খেলেও সাহরি খাওয়া হয়। কেউ যদি সাহরিতে উঠতে না পারে, তাহলে তাকেও রোজা রাখতে হবে। সাহরি খাওয়া মুস্তাহাব ও বরকত। (বিনায়া শরহে হেদায়া : ৪/১০৩)

সাহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সাহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সাহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৪২)

এছাড়াও বিলম্বে সাহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে— শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সাহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

পেটে ক্ষুধা না থাকলে সাহরির সময় দুই-একটি খেজুর খেয়ে নেওয়া উত্তম বা অন্য কোনো জিনিস খেয়ে নেবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

এছাড়াও বিলম্বে সাহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে— শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সাহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকসময়ে সাহরি খেয়ে রোজা রাখার তাওফিক দান দিন, আমিন।

শেয়ার করলে অনুপ্রাণিত হবো...।

Comments

comments

error: Content is protected !!